আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে ভোট বিপ্লবের অপেক্ষায় এমপি গাজী

নবকুমার: আগামী কাল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সব ধরণের প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রার্থীরা। রূপগঞ্জ উপজেলা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ১ আসন গঠিত।এখানে দুটি পৌরসভা এবং ৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর বীর প্রতীক। বিএনপির হয়ে তার সাথে লড়ছেন কাজী মনিরুজ্জামান।

এবারে নির্বাচনে রূপগঞ্জে মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮শ ১২ জন। তার মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৩ শ ৯৯ জন।  নারীদের ভোটে এগিয়ে রয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। গোলাম দস্তগীর গাজীর স্ত্রী হাছিনা গাজী রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাব পৌরসভার মেয়র। হাছিনা গাজীর পদচারণায় রূপগঞ্জে নারী নেতৃত্বের বিপ্লব ঘটেছে। অধিকাংশ নারী গোলাম দস্তগীর গাজীকে বিজয়ী করার লক্ষে মাঠে কাজ করেছে। গোলাম দস্তগীর গাজীর নারীদের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে।
এদিকে বিএনপির প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামানের নারীদের তেমন কোন ভোট ব্যাংক নেই।

রূপগঞ্জে শ্রমিকদের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় গোলাম দস্তগীর গাজী একাধিকবার জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করেছেন। রূপগঞ্জের শ্রমিকদের সুখে দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন । শ্রমিকদের ভোট গোলাম দস্তগীর গাজী পাবেন এমটাই তার প্রত্যাশা।

শ্রমিকদের ভোটে পিয়ে রয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান। তার নামে রয়েছে ৬৫ টি শ্রমিক নির্যাতন এবং শ্রমিকদের বেতন আত্নসাতের মামলা। শ্রমিকদের আস্থা নেই কাজী মনিরুজ্জামানের প্রতি। কাজী মনিরুজ্জামান ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় থাকা কালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শ্রমিকদের কুত্তার মত পিটিয়েছেন। তখন শ্রমিকদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে রূপগঞ্জের আকাশ- বাতাস ।

দলীয় সমর্থন:

গোলাম দস্তগীর গাজীর পক্ষে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ ,কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ সারা রূপগঞ্জ চষে বেড়াচ্ছেন। তাদের পদচারণায় মাঠে নামতে পারে নাই ছাত্রদল -যুবদল ,কৃষকদল।

রূপগঞ্জে বিএনপি তিন ভাগে বিভক্ত রয়েছে। তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা কাজী মনিরুজ্জামান কে তাদের প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে পারছেন না। গত ২০ দিনে বিএনপির প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী গোলাম দস্তগীর গাজীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। বিএনপির প্রার্থী কর্মীহীনতায় ভুগছেন। শেষ পর্যন্ত কাজী মনির মাঠে থাকবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে বর্তমান সরকারে আমলে গোলাম দস্তগীর গাজীর পদচারণায় পাল্টে গেছে রূপগঞ্জের উন্নয়ন চিত্র। তিনি রূপগঞ্জে ৩২শ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। তার নামে নেই কোন অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ। প্রায় ২০ হাজার বেকার যুবককে চাকরি দিয়েছেন তিনি । তরুণ ভোটারদের আস্থা অর্জন করেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি ভোট বিপ্লবের অপেক্ষায় রয়েছেন। রূপগঞ্জ বাসি গোলাম দস্তগীর গাজীকে ভোট দিতে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।ধারণা করা হচ্ছে এ আসনে অওয়ামী লীগের প্রার্থী বড় ব্যবধানের জয় পাবেন। তবে রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই বিজয়ী হবে। ফলাফলের জন্য আমাদের কে অপেক্ষা করতে হবে রবিবার রাত পর্যন্ত।